Wednesday, 10 June 2015

নামায বহু কিছু শেখায়ঃ

১. যে পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদে আদায় করে নামায তাকে সারাক্ষণ আল্লাহর কথা স্মরণ করায় । সর্বদা নামাযের সময় সম্পর্কে তাকে সচেতন থাকতে হয় । সে যে একমাত্র আল্লাহর দাস নামায তাকে সে কথা ভুলতে দেয়না।
আল্লাহ বলেন : আমাকে মনে রাখার উদ্দেশ্যে নামায কায়েম কর।
২. যে মন-মানসিকতা ও জযবা নিয়ে নামায আদায় করতে হয় নামাযের বাইরের তৎপরতার সময়ও ঐ মন মানসিকতা ও জযবার প্রভাব জারী থাকে।
৩. নামায কড়াভাবে সময়ানুবর্তিতা শেখায় । বারবার যথাসময়ে নামাযের জামায়াতে হাযির হওয়ার ফলে সব কাজই সময় মতো করার অভ্যাস হয়।
৪. ঠিক মতো অযু করা, মসজিদে হাযির হওয়া, ইমামের আনুগত্য করা, ঠিক ঠিক মতো নামায আদায় করা ইত্যাদি নামাযীর জীবনে শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টি করে । সব কাজ গোছালোভাবে করার মানসিকতা গড়ে উঠে।
৫. নামায সামাজিক ও রাষ্টীয় জীবনে নিয়ম নীতি মেনে চলার প্রশিক্ষণ দেয়। ইমামের আনুগত্যের মাধ্যমে নেতার আনুগত্যের ট্রেনিং হয়। ইমাম ভুল করলে শালীন ভাষায় লুকমা দিয়ে ইমামকে সংশোধন করার মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করার ভদ্র-পদ্ধতির শিক্ষা লাভ হয়। নামায রাজনৈতিক ময়দানেও সুশৃঙ্খল ও শালীন হতে উদ্বুদ্ধ করে।

No comments:

Post a Comment