বুকে ব্যথা অথবা পেটের ওপরের অংশে ব্যথা, যা বেশি সময় থাকে, ব্যথার
তীব্রতা অনেক সময় এত বেশি হয় যে মনে হয় এখনই মৃত্যু হবে। ব্যথার সঙ্গে বমি
হতে পারে। অত্যধিক ঘাম হয়ে থাকে। ব্যথা সাধারণত বাম হাতে যায়। এছাড়া
চোয়াল, গলা, বুকের পেছনে, পেটেও যেতে পারে। সাধারণত বুকে-পিঠে চাপ লাগার
মতো মনে হয়। এছাড়া বুক ভারী মনে হওয়া, বুক জ্বলা, গলায় চাপ লাগা ইত্যাদি
হতে পারে। অনেক সময় শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের জন্য কিছু কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দায়ী। এগুলো এড়িয়ে চলতে পারলে হার্ট অ্যাটাক অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। যেমন-
হার্ট অ্যাটাকের জন্য কিছু কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দায়ী। এগুলো এড়িয়ে চলতে পারলে হার্ট অ্যাটাক অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। যেমন-
১. ধূমপান সম্পূর্ণ বর্জন করুন। সাদা পাতা, জর্দা, নস্যি ইত্যাদি পরিহার
করুন। ২. যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, নিয়মিত ওষুধ সেবন ও রক্তচাপ পরীক্ষা
করুন। অনেকে উচ্চ রক্তচাপ কমে গেলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করেন। পুনরায় রক্তচাপ
বেড়ে গেলে ওষুধ খেয়ে থাকেন। এ ধরনের অনিয়মিত ওষুধ সেবন ও রক্তচাপ ওঠানামা
হার্ট অ্যাটাক থেকে সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। ৩. যাদের
ডায়াবেটিস আছে, নিয়মিত ওষুধ সেবন করবেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। ৪.
হাইপারলিপিডেমিয়া বা রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের আধিক্য থাকলে, ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী চর্বি যাতীয় খাবার কম খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন কমানো
এবং ক্ষেত্রবিশেষ ওষুধ সেবনের মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল স্বাভাবিক মাত্রায়
নিয়ে আসতে হবে। ৫. মদ্যপান হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, তাই
মদ্যপান পরিহার করতে হবে। ৬. জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা
বাড়িয়ে দেয়। জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি ক্ষেত্রবিশেষ পরিহার করে অন্য পদ্ধতি
ব্যবহার করা যেতে পারে। ৭. ওজন ঠিক রাখা। বাড়তি ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। ওজন
কমানোর জন্য মিষ্টি খাবার ও চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে খাবার গ্রহণ করতে
হবে। ৮. পরিমিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। ৯. হাইরিক্স গ্রুপ
রোগীদের নিয়মিত মেডিক্যাল চেকআপ করা। ১০. হার্টের জন্য সহনীয় খাবার খাওয়া
যেমন লবণ কম খাওয়া, চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়া, শাকসবজি ও ফলমূল বেশি
খাওয়া। ১১. নিয়মিত ঘুমানো, মানসিক দুশ্চিন্তা না করা, হঠাৎ উত্তেজিত না
হওয়া। ১২. দুশ্চিন্তা মুক্ত, সুন্দর ও সাধারণ জীবনযাপন করুন। এতে হার্ট
অ্যাটাকের হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যাবে।
### হৃদরোগীদের খাদ্য তালিকায় প্রথমেই যোগ করতে হবে উজ্জ্বল রঙের শাকসবজি, যেমন- শসা, গাজর, ঢেঁরশ, টমেটো, ডাঁটা, পালংশাক, লালশাক ইত্যাদি। প্রতিদিন কিছু না কিছু টাটকা মৌসুমি ফল যেমন- আম, জাম, পেয়ারা, কমলা, কলা, আপেল, পেঁপে ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। মাংসের মধ্যে হৃদরোগীদের জন্য উপযোগী হচ্ছে বাচ্চা মুরগির মাংস। তবে মুরগির চামড়া, মগজ অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কুসুম বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে হবে। নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, টাকি, বেলে ইত্যাদি। এছাড়া বেছে নেয়া যেতে পারে পাবদা, শিং, কই ও মাগুর। এছাড়া আরও অনেক মাছ আছে যেগুলোতে চর্বি নেই সেগুলো খাওয়া যাবে। মিঠা পানির তৈলাক্ত মাছ না খাওয়াই ভালো। তবে যে কোনো সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে। গবেষকরা মনে করেন, সামুদ্রিক মাছ হৃৎপি-ের সুস্থতা রক্ষায় সহায়ক। আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে। ভাত কম খাবেন। প্রতিদিনই ভাতের সঙ্গে ১/২ চামচ ডাল খাওয়া যেতে পারে।
### হৃদরোগীদের খাদ্য তালিকায় প্রথমেই যোগ করতে হবে উজ্জ্বল রঙের শাকসবজি, যেমন- শসা, গাজর, ঢেঁরশ, টমেটো, ডাঁটা, পালংশাক, লালশাক ইত্যাদি। প্রতিদিন কিছু না কিছু টাটকা মৌসুমি ফল যেমন- আম, জাম, পেয়ারা, কমলা, কলা, আপেল, পেঁপে ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। মাংসের মধ্যে হৃদরোগীদের জন্য উপযোগী হচ্ছে বাচ্চা মুরগির মাংস। তবে মুরগির চামড়া, মগজ অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কুসুম বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে হবে। নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, টাকি, বেলে ইত্যাদি। এছাড়া বেছে নেয়া যেতে পারে পাবদা, শিং, কই ও মাগুর। এছাড়া আরও অনেক মাছ আছে যেগুলোতে চর্বি নেই সেগুলো খাওয়া যাবে। মিঠা পানির তৈলাক্ত মাছ না খাওয়াই ভালো। তবে যে কোনো সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে। গবেষকরা মনে করেন, সামুদ্রিক মাছ হৃৎপি-ের সুস্থতা রক্ষায় সহায়ক। আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে। ভাত কম খাবেন। প্রতিদিনই ভাতের সঙ্গে ১/২ চামচ ডাল খাওয়া যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment