Tuesday, 20 October 2015

বর্তমান ও ভবিষ্যতের বাবা মায়ের প্রতিঃ


১, সন্তানকে ছোট বেলা থেকেই দ্বীন ইসলাম শিক্ষা দিন। আপনার প্রতিটি কথা ও কাজের ক্ষেত্রে ইসলামকেই একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে প্রয়োগ করুন।
২, অশ্লীল নাচ, গান, নাটক, সিনেমা দেখতে দিবেন না এবং নিজেও দেখা থেকে বিরত থাকুন। শিশুরা আপনার কথা না বরং আপনার কাজ কে অনুসরণ করে।
৩, তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি খুব ছোট বেলা থেকেই তাদের মনের ভিতর গেথে দিন। আল্লাহ যে আমাদের সবসময় দেখছেন সেটা তাদের ছোট্ট মগজে ঢুকিয়ে দিন।
৪, বিশেষ করে মেয়ে বাবুদের খোলামেলা পোশাক পড়াবেন না। অনেক মা-ই ভাবেন ছোট মানুষ! কী আর হবে। যা হবে তা হলো এতে ধীরে ধীরে তাদের লজ্জা কমে যাবে যা বড় হয়েও ঠিক হবে না। তাই ছোট বেলা থেকেই তাদের লজ্জাশীলতা শিক্ষা দিন।
৫, বাচ্চার সাথে খুব ভালো একটা বন্ডিং তৈরি করুন। তাকে বলুন আপনি তাকে কত্ত ভালোবাসেন। আমরা বাবা মায়েরা এই ভুলটা খুব বেশি করি। প্রানের থেকেও বেশি প্রিয় যে সন্তান, তাকে কখনোই বলি না যে তাকে আমরা কতটুকু ভালোবাসি। "আমি তোমাকে অনেএএএক ভালবাসি " এই কথাটা বেশি করে বলুন। আপনার সন্তান ও একদিন আপনাকে এভাবে বলতে শিখবে, ইন শা আল্লাহ।
৬, সন্তান আল্লাহর দেয়া একটি বিশেষ নিয়ামত। সন্তান আমাদের জন্য আল্লাহর দেয়া আমানত ও বটে। তাই একে নিজ সম্পদ মনে না করে বরং আল্লাহর সম্পদ মনে করুন ও সে অনুযায়ী তাকে মানুষ করুন।
৭, সুসন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু'আ করুন।
উপরের নসিহা গুলো মনে রাখলে ও মেনে চলতে পারলে মা বাবা হিসেবে আখিরাতে আপনি সফল হতে পারবেন; আর বৃদ্ধ বয়সেও আপনাকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না, ইন শা আল্লাহ।

সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করো এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখো

একজন লোক তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। তারা যখন নৌকা দিয়ে সাগর পাড় হচ্ছিল, তখন হঠাৎ একটি বড় ঝড়ের কবলে পড়েছিল। লোকটি ছিল একজন সাহসী যোদ্ধা, কিন্তু তার স্ত্রী খুব ভীত হয়ে ওঠে যেহেতু নৌকাটি ছিল ছোট এবং যে কোন মুহূর্তে তারা নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে এতে সে খুব নিরাশ হয়ে পড়ল। কিন্তু লোকটি তখনও নীরব এবং শান্ত ছিল যেন কিছুই ঘটেনি। মহিলার আতঙ্কগ্রস্ত এবং কম্পিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, “আপনি কি ভীত নন? এটাই আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত হতে পারে! শুধুমাত্র কিছু অলৌকিক ঘটনা আমাদের রক্ষা করতে পারে; অন্যথায় মৃত্যু নিশ্চিত।”
লোকটি হাসতে হাসতে তার তলোয়ারটি খোলস থেকে বের করল। মহিলাটি আরো আতঙ্কিত হয়ে পরল; সে আসলে কি করতে যাচ্ছে? তারপর সে তার খোলা তলোয়ারটি তার স্ত্রীর প্রায় গলাকে স্পর্শ করে ধরে রাখল। সে বলল, “তুমি কি ভয় পাচ্ছ?”
তার স্ত্রী হাসতে শুরু করল আর বলল, “আমি কেন ভয় পাব? তলোয়ারটিতো আপনার হাতে, কেন আমি ভয় পাব? আমি জানি যে আপনি আমাকে অনেক ভালবাসেন।”সে তলোয়ারটি খোলসের ভিতর রাখতে রাখতে বলল, “তুমি আমার উত্তর পেয়ে গেছ।”
আমি জানি আল্লাহ আমাদের ভালবাসেন এবং ঝড় তাঁরই হাতে। তাই যাহা-কিছুই হতে যাচ্ছে ভালই হবে। যদি আমরা বেঁচে থাকি, ভালো; আর না বাঁচলেও, ভালো; কারণ সবকিছু তাঁর হাতে এবং তিনি কোন ভুল কিছু করতে পারেন না। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করো এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখো যিনি তোমার জীবনকে পুরো বদলে দিতে সক্ষম।

নবী করীম (সা) এর প্রার্থনা

প্রায় সময় নবী করীম (সা) এই বলে প্রার্থনা করতেন যেঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমার চরিত্র ও আচার-ব্যবহারকে সুন্দর করে দাও; এ ব্যাপারে তুমি ছাড়া আমার আর কোন সাহায্যকারী নেই। আর দূরে সরিয়ে রাখ আমার নিকট থেকে সকল মন্দকাজ এবং মন্দগুনাবলী; এই বিষয়েও তুমি ব্যতীত আমার অন্যকোন সাহায্যকারী নেই”
তাই আসুন, আমাদের প্রিয় নবী (সা) এর মত আমরাও সাহায্য প্রার্থনা করি আল্লাহ্‌র কাছে, যেন তিনি আমাদের চরিত্রকে সুন্দর করে দেন এবং দূর করে দেন আমাদের অন্তরের যাবতীয় অহংকার আর দাম্ভিকতা; যেন বাঁচিয়ে রাখেন আমাদের সবাইকে জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব থেকে যার জ্বালানী হবে পাথর আর মানুষ; সর্বোপরি, আল্লাহ্‌ যেন আমাদেরকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করেন। (আমীন)

হে আল্লাহ ! আমাদের সকলের মাকে সুখে শান্তিতে রেখো

আমার জন্য মা দশমাস দশ দিন কষ্ট করেছেন | এখনো কষ্ট করছেন | ভাবতে অনেক খারাপ লাগে, অপরাধবোধ কাজ করে | ঋণগুলো শোধ করার মত না |
মায়েরা সবচেয়ে বেশি চোখের পানি ফেলেন সন্তানের মঙ্গল কামনা করে | আবার সন্তানের সাফল্যেও মায়ের চোখ থেকে পানি পড়ে | সে পানি দেখতে ভালো লাগে | চিকচিক করা সে পানিতে জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় | কিন্তু সন্তানের দেয়া কষ্টে মায়ের চোখ থেকে যে পানি পড়ে সে পানির ভার সহ্য করা অনেক কঠিন | সন্তানের দেয়া কষ্টে পৃথিবীর কোন মায়ের চোখ থেকে যেন এক ফোঁটা পানিও না পড়ে |
বাড়িতে থাকাকালীন মায়ের মর্যাদা কিংবা গুরুত্ব কখনোই অনুধাবন করিনি |
হে আল্লাহ ! আমাদের সকলের মাকে সুখে শান্তিতে রেখো | তাঁদের জীবনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দাও (আমীন)

ক্ষমা করার গুন মানুষকে সুখী হতে সাহায্য করে

ইমরান রহমান একজন স্কুল শিক্ষক। ছাত্রদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং শিক্ষাদানের অভিনব কৌশলের জন্য তিনি ছাত্রমহলে বেশ জনপ্রিয়। একদিন ক্লাশে এসে ছাত্রদের বললেন, “আমি তোমাদের সাথে একটা গেম খেলতে চাই, খেলবে তোমরা গেম?”
ছাত্ররা তো মহাখুশি। গেম কে না খেলতে চায়! সবাই এক বাক্যে রাজী। গেম খেলবে তারা।
– “ঠিক আছে। আগামীকাল একটা ব্যাগে করে কিছু টমেটো নিয়ে আসবে তোমরা। ওকে?”
ছাত্ররা ব্যাগ ভর্তি টমেটো নিয়ে এলো। “এখন কি করবো স্যার?” ছাত্রদের উৎসুক জিজ্ঞাসা।
– “তোমরা যাকে/যাদের সহ্য করতে পারনা বা ঘৃণা কর তাদের নাম একটা একটা করে টমেটোগুলোর গায়ে লেখ”।
ছাত্ররা ব্যাপক উৎসাহে টমেটোর গায়ে নাম লিখতে থাকলো। কেউ ১ টা, কেউ ২ টা, কেউবা ৫ টা পর্যন্তু টমেটোর গায়ে নাম লিখলো।
“যে যতগুলো টমেটোর গায়ে নাম লিখেছো সেগুলো আবার নিজ নিজ ব্যাগে রাখ। এই টমেটোগুলো আগামী ১ সপ্তাহের জন্য সবসময় তোমাদের সাথেই রাখবে। ঘুম, খাওয়া, পড়া যা-ই কর না কেন সবসময়ই এই টমেটোগুলো যেন তোমাদের পাশেই থাকে।”
এভাবে কয়েকদিন যাবার পর টমেটোগুলো থেকে প্রচণ্ড দূর্গন্ধ আসছে বলে অভিযোগ করলো ছাত্ররা। উপরন্তু যাদের ব্যাগে ৫ টা টমেটো ছিল তারা বেশ ঝামেলায় পড়ে গেল। ৫ টা টমেটোর ওজন একেবারেই কম না। ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য সেটা বহন করা বেশ কষ্টকর হয়ে গেল। কাজেই যে উৎসাহ নিয়ে ছাত্ররা গেমটা আরম্ভ করেছিল তা বিরক্তিতে পরিণত হলো দিনেদিনে।
অবশেষে ১ সপ্তাহ শেষ হলো। ছাত্ররা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল এই গেমের অবসানে।
স্যার জিজ্ঞেস করলেন, “এই এক সপ্তাহ কেমন কাটলো তোমাদের?”
ছাত্ররা তাদের হতাশা ও অসুবিধার কথা খুলে বললো স্যারকে। টমেটোর দূর্গন্ধ ও ওজন তাদের যে ভোগান্তিতে ভুগিয়েছে তা বিস্তারিত জানালো।
স্যার তাদের গেমটার গোপন অর্থ খুলে বললেন। এই ঘটনাটা অনেকটা হৃদয়ে কারও প্রতি রাগ বা ঘৃণা বয়ে বেড়ানোর ঘটনার মতো। ঘৃণা বা রাগ ধীরে ধীরে তোমাদের হৃদয়কে দূষিত ও কলুষিত করে তোলে, যেটা তোমাদের সবসময়ই বয়ে বেড়াতে হয়। মাত্র ১ সপ্তাহ পঁচা টমেটো তোমাদের সাথে বয়ে নিয়ে বেড়ানোতেই তা তোমাদের জন্য অসহ্য হয়ে উঠেছে। পঁচা টমেটোর দূর্গন্ধ ও ওজন তোমাদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে। কাউকে যদি তোমরা ঘৃণা কর, অনেকদিন তার প্রতি রাগ পুষে রাখ, তাহলে তোমাদের হৃদয়ের কি অবস্থা হবে কল্পনা করতে পার?
মরাল : হৃদয় থেকে অন্যের প্রতি ঘৃণা বা রাগ মুছে ফেল যাতে সারা জীবন কোন পাপ বয়ে নিয়ে বেড়াতে না হয়। ক্ষমা করার গুন মানুষকে সুখী হতে সাহায্য করে।

ব্যর্থ হয়েছি বলে কখনই চেষ্টা করা ছেড়ে দেওয়া উচিত না

এক লোক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। রাস্তার পাশেই একটা হাতি দড়ি দিয়ে বাঁধা । হাতিটাকে এই অবস্থায় দেখে লোকটা খুব অবাক হলো। কোন শিকল নেই, কোন খাঁচাও নেই। হাতিটার এক পা শুধু একটা পাতলা দড়ি দিয়ে বাঁধা । চাইলেই হাতিটা যে কোন মুহূর্তে দড়ি ছিঁড়ে চলে যেতে পারে। কিন্তু হাতিটা সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। দড়ি ছিঁড়ে চলে যাচ্ছেনা বা ছেঁড়ার কোন চেষ্টাই করছেনা।
অনেকক্ষন আনমনে ভাবলো লোকটা। ঘোর কাটছেনা কিছুতেই। সুযোগ থাকার পরও হাতিটা মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেনা কেন? কি এমন কারণ থাকতে পারে এর পেছনে? ঘটনাটা বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে লোকটাকে।
কিছুদূর যাওয়ার পর একজন ট্রেইনারের সাথে দেখা হলো তার । “সুযোগ থাকার পরও হাতিটা স্থির দাঁড়িয়ে আছে কেন? কেন সে দড়ি ছিঁড়ে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেনা? ” অনেক আগ্রহ নিয়ে ট্রেইনারকে জিজ্ঞাসা করলো লোকটা।
লোকটার প্রশ্ন শুনে হেঁসে উঠলো ট্রেইনার। বললো “হাতিটা যখন অনেক ছোট ছিল, তখন এরকমই একটা পাতলা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হতো তাকে। তখন বাচ্চা হাতিটাকে বেঁধে রাখার জন্য এই ছোট দড়িটাই যথেষ্ট ছিল। তাই চেষ্টা করার পরও দড়ি ছিঁড়ে সে মুক্ত হতে পারেনি। এরপর সে বিশ্বাস করা আরম্ভ করলো তার পক্ষে এই দড়ি ছিঁড়ে মুক্ত হওয়া সম্ভব না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাতিটা অনেক পরিনত হয়েছে, কিন্তু তার সেই বিশ্বাস এখনও আছে। সে এখনও ভাবে তার পক্ষে এই দড়ি ছিঁড়ে মুক্ত হওয়া সম্ভব না। তাই সে দড়ি ছিঁড়ে মুক্ত হওয়ার কোন চেষ্টাই করেনি আর” ।
লোকটা অভিভূত হয়ে গেল! নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ থাকার পরও হাতিটা যেখানে ছিল সেখানেই স্থির হয়ে আছে কারণ সে ভাবে তার পক্ষে মুক্ত হওয়া সম্ভব না! এমনকি সে আর চেষ্টাই করে দেখেনি!

Moral : কোন কাজে দু-একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে আমাদের কতজন এই হাতিটার মতো “পারবনা” ভেবে জীবনকে এক জায়গাতেই ঝুলিয়ে রেখেছি? কতজন ভাবছি আমরা অক্ষম, আমাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব না? জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা কখনো ফুরিয়ে যায়না। ব্যর্থতা শিক্ষার একটা অংশ, ব্যর্থ হয়েছি বলে কখনই চেষ্টা করা ছেড়ে দেওয়া উচিত না।

এক ভাই লিখেছেন তার কষ্টের কথা ।

কেউ যদি তোমার সাথে প্রতারণা করে তাহলে নিজেকে বোকা
আর অন্য মানুষটাকে অনেক চালাক ভাবার কিছু নেই। বরং ভেবো,
তুমি তাঁকে সাদামনে বিশ্বাস করেছিলে, যার মর্যাদা সেই মানুষটা
রাখতে পারেনি। আর যে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারে না,
তাঁর সাথে সম্পর্ক না রাখাই সবচেয়ে ভালো...

শিক্ষামূলক পোস্ট....আশা রাখি পড়বেন....

একজন মানুষ ক্লান্ত শরীরে দেরিতে ঘরে প্রবেশ করার সময় দেখল
তার ১০ বছরের ছেলে তার জন্য দরজায় অপেক্ষা করছে

ছেলেঃ বাবা আমি কি তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি
বাবাঃ অবশ্যই, প্রশ্নটা কি?
ছেলেঃ বাবা,তুমি ঘণ্টায় কত টাকা আয় কর
বাবাঃ “এটা তোমার জানার দরকার নেই” রাগান্নিত স্বরে উত্তর দিল
ছেলেঃ আমি শুধু জানতে চাই।দয়া করে বল, তুমি ঘণ্টায় কত টাকা আয় কর
বাবাঃ তোমার যখন এতই আগ্রহ,তাহলে শোন আমি ঘণ্টায় ১০০ টাকা আয় করি
ছেলেঃ ‘ওহ! তাই’ ছেলে মাথা নিছু করে উত্তর দিল
ছেলেঃ বাবা, তুমি কি আমাকে ৫০ টাকা দিবে
একথা শুনার পর বাবা প্রচণ্ড রেগে ছেলেকে বলল “এই কারনেই তুমি আমার আয় কত জিজ্ঞেস করেছ ।তোমার সাহস তো কম না। সোজা তোমার রুমে যাও এবং ঘুমাও।

ছোট্ট ছেলেটি ধীরে ধীরে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল
এক ঘণ্টা পর পিতা শান্ত মনে ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করতে লাগল
“ আমার ছেলে তো আমার থেকে সবসময় টাকা চায় না, আজ কেন সে আমার থেকে টাকা চাইল ? নিশ্চয় সে এই টাকা দিয়ে তার জন্য খুব দরকারি কিছু কিনবে”

পিতা তার ছেলে রুমে গেল
“ তুমি কি ঘুমাচ্ছ” পিতা জিজ্ঞেস করল
"না বাবা , আমি জেগে আছি" ছেলে উত্তর দিল
পিতা বলল “ আমি দুঃখিত, আসলে সারাদিন কাজের চাপে আমি অধৈর্য হয়ে গিয়েছিলাম,তাই তোমার প্রতি এত রাগ দেখালাম। এই নাও তোমার ৫০ টাকা"
বাবার কাছ থেকে টাকা পেয়ে ছেলে খুব খুশি হল। তারপর সে তার বালিশের নিচ থেকে আরো টাকা বের করল

ছেলে কাছে অতিরিক্ত টাকা দেখে বাবা আবার রেগে গেলেন
ছেলে আস্তে আস্তে তার টাকা সব গুনল এবং বাবার দিকে তাকাল

"তোমার কাছে টাকা থাকতে তুমি আমার কাছে আবার টাকা চাইতে গেলে কেন?" বাবা রাগান্নিতভাবে ছেলেকে জিজ্ঞেস করল।
"কারন আমি যা কিনব তার জন্য আমার কাছে প্রয়োজনীয় টাকা ছিল না, কিন্তু এখন আছে " ছেলে উত্তর দিল
"বাবা আমার এখন মোট ১০০ টাকা আছে , তুমি ঘণ্টায় ১০০ টাকা আয় কর। আমি আমার ১০০ টাকা দিয়ে তোমার একটা ঘণ্টা কিনতে চাই। দয়া করে আগামীকাল একটু তাড়াতাড়ি বাসায় এস । আমরা দুইজন একসাথে রাতের খাবার খাব । তোমার সাথে বসে কত দিন রাতের খাবার খায় নি।
এই কথাগুলো শুনার পর পিতা তার সন্তানের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল , কিছুক্ষন পর তার দুই হাত দিয়ে তার সন্তানকে জড়িয়ে ধরল এবং তার ভুলের জন্য সন্তানের কাছে ক্ষমা চাইল ।
শিক্ষাঃ অনেকে শত ব্যস্ততার জন্য তাদের সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারে না । কিন্তু সন্তানের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য বাবা মায়েয় সান্নিধ্য খুবই প্রয়োজন.........!!!!

আশা নামের আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিৎ নয়

একটি রুমের ভেতরে চারটি মোমবাতি
জ্বলছিলো। মোমবাতি গুলো একে
অপরের সাথে তাদের নিজস্ব ভাষায়
কথা বলা শুরু করলো।
প্রথম মোমবাতি টি বললো, 'আমি
শান্তি। কেউ আমাকে জ্বালিয়ে
রাখতে পারবেনা। আমি এখন নিভে
যাবো।' তারপর সেটি নিভে গেলো।
.
দ্বিতীয় মোমবাতি টি বললো, 'আমি
বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই
আমার আর জ্বলতে থাকার কোনো
প্রয়োজন দেখছিনা। আমি এখন এখন
নিভে যাবো'। কথা শেষ করার পর
দ্বিতীয় মোমবাতি টি নিভে গেলো।
.
তৃতীয় মোমবাতি এবার মুখ খুললো,
আমি ভালবাসা। শান্তি এবং বিশ্বাস
কেউ নেই, তাই আমারো বেশিক্ষণ
জ্বলার মত শক্তি নেই। মানুষেরা
আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে
সরিয়ে রাখে। শুধু তাই না, ওরা প্রিয়
মানুষ গুলোকে পর্যন্ত ভুলে যায়।" কথা
শেষ করে তৃতীয় মোমবাতি টিও নিভে গেলো।
.
কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটি বাচ্চা
প্রবেশ করলো, তিনটা নিভে যাওয়া
মোমবাতির পাশে টিমটিমে জ্বলতে
থাকা চতুর্থ মোমবাতি দেখে বাচ্চা
টি প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, তোমরা জ্বলছো না কেন?
.
তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া
পর্যন্ত জ্বলা উচিৎ ছিলো। তারপর
বাচ্চা টি কাঁদতে শুরু করলো। এবার
চার নম্বর মোমবাতি টি মুখ খোলে। 'ভয়
পেয়ো না। আমি যতক্ষণ জ্বলছি, তুমি
চাইলেই আমাকে দিয়ে আবারো বাকি
মোমবাতি গুলোকে জ্বালাতে পারো।
আমার নাম আশা। "বাচ্চা টি আশা
নামের মোমবাতি টি দিয়ে একে একে
বাকি মোমবাতি গুলোকে আবারো
জ্বালালো। সমস্ত রুমটা আবারো
উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো।

গল্পটি রূপক।
হাজারো হতাশা, দুঃখ আর সমস্যার
অন্ধকারে ডুবে গিয়ে আশা নামের
আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া
উচিৎ নয়। কারন আশা না থাকলে
আমাদের জীবন থেকে শান্তি,
বিশ্বাস এবং ভালবাসাও অন্ধকারে
হারিয়ে যাবে।

সবর বা ধৈর্য

সবর বা ধৈর্য ধারণ করা আকীদার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জীবনে বিপদ-মুসিবত নেমে আসলে অস্থিরতা প্রকাশ করা যাবে না। বরং ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
পাশাপাশি আল্লাহর নিকট প্রতিদান পাওয়ার আশা করতে হবে। ইমাম আহমদ রহঃ বলেন, “আল্লাহ তায়ালা কুরআনে নব্বই স্থানে সবর সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।”
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, “সবর হল জ্যোতি।” 
(মুসনাদ আহমদ ও মুসলিম)
উমর রা. বলেন,“সবরকে আমরা আমাদের জীবন-জীবিকার সর্বোত্তম মাধ্যম হিসেবে পেয়েছি।” (বুখারী)

Tuesday, 13 October 2015

এক নজরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ফরম